রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আড়ৎ এর
জামানতের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভমিছিল কর্মসূচী পালন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। রবিবার (২৬-সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মঠেরঘাট এলাকার রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়েরসামনে এ কর্মসূচী পালন করেন তারা। এসময় বক্তব্য রাখেন, আড়ৎ এর ব্যবসায়ীরাসেল, ফয়েজ আহমেদ, দিলরুবা, মুফতি নুরুল নগরী ও সোহেল প্রমূখ।এ সময় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানারধুকুন্দিরচর এলাকার কামাল হোসেন, অহিদুর রহমান, সায়েম, আলমগীর মিলেরূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় একটি পাইকারি কাচাঁমালের আড়ৎ চালুকরেন।

গত বছরের শুরু দিকে তারা আড়ৎ এর সাড়ে ৩ শতাধিক দোকান প্রতিটি১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বরাদ্দ দেওয়া শুরু করেন। আড়ৎ এর ব্যবসায়ী রাসেল,দিলরুবা, মুফতি নুরুল নগরী ও সোহেলসহ প্রায় দেড় শতাধিক ব্যবসায়ীপ্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকায় সাড়ে ৩’ শ দোকানঘর বরাদ্দ নেন। এ টাকানেওয়ার সময় কামাল হোসেনসহ তার লোকজন ব্যবসায়ীদের মানি রিসিটপ্রদান করে।পরে আড়ৎ লোকসানের দিকে যাওয়ায় কামাল হোসেনসহ তার সহযোগীরাব্যবসায়ীদের সাড়ে ৪ কোটি টাকা জামানত ফেরত না দিয়েই আড়ৎ বন্ধ করেদেয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর কামাল হোসেনের লোকজন আড়ৎ এর দোকানের বাঁশ।

টিন ও খুঁটি খুলতে থাকে। এসময় ব্যবসায়ীরা বাঁধা প্রদান করলে তারা
তাদেরকে এলোপাথারিভাবে পেটায় ও হত্যার হুমকি ধামকি প্রদান করে। কামালহোসেনসহ তার সহযোগীরা ব্যবসায়ীদের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা
চালা”েছ।ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, কেউ এনজিও থেকে কিস্তি তুলে ও ব্যাংক থেকে ঋণতুলে তাদেরকে দোকানের জামানত প্রদান করেছে। জামানতের টাকা ফেরত নাদিয়ে হঠাৎ আড়ৎ ভেঙ্গে দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে।ব্যবসায়ীদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ব্যব¯’া নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুইয়া, উপজেলানির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহ্ধসঢ়; নূসরাত জাহান, রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কামাল হোসেন বলেন, আমি যে টাকা আড়ৎ এ ইনভেষ্টকরেছি। তাতে আমি পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত। বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকেই টাকাফেরত দিয়ে দিয়েছি। বাকীদের টাকাও ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে কিন্তু আমাকেদুই মাস সময় দিতে হবে।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহ্ধসঢ়; নূসরাত জাহানের
সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ
করেননি।